আমি বসে থাকি ওখানটায়, ক্যালসিয়াম কার্বনেটের শুভ্র শুষ্ক প্রলেপ যেখানে ত্রিমাত্রিক অবয়ব সৃষ্টি করেছে। ঠিক ওখানটায় আমি বসে থাকি।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি চারটি দেয়ালে মাঝে, উপরে তাকিয়ে আকাশ দেখি। আমার আকাশের রং কালো, সেখানে কখনই নক্ষত্ররা উঁকি দেয় না আর অমাবশ্যার চাঁদ সেটা তো লুকিয়েই আছে সারাটি জীবন।
আমার ঘরে বায়ুর সাগর আছে। তবে, সেই সাগরের কর্কশ গর্জন নেই, নেই গতিময়তা। তাকে অনুভব করতে অনেক কষ্ট হয়।
আমার দেয়ালগুলোতে জানালা নেই তবুও আমি সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাতের আগমন বুঝতে পারি। আমার অন্ধ চোখের কালো চাহনি কিভাবে তাদের আগমনে সাড়া দেয় তা ভেবে আমার সত্ত্বা সত্যিই বিস্মিত।
আমার সম্পদ হারানোর ভয় নেই কেননা সম্পদ বলতে আমার তেমন কিছুই নেই শুধু চারটি দেয়ালের ক্যালসিয়াম কার্বনেটের শুষ্ক প্রলেপ ছাড়া।
আমি মাঝে মাঝে গান গাই, বেসুরে, অশ্লীল বাক্যে তখন জীর্ণ হাতদুটো আমার গলা চেপে ধরে ঘটায় রক্তপাত।
মানব সভ্যতাকে ভয়ংকর কিছু উপহার দেয়ার তরেই আমার সৃষ্টি, আমার অস্তিত্ব মানব মনের কল্পনায়। যার জন্য আজ তারা ভীত এবং অসহায়। তাদের নিকট আমি এক ভয়ংকর ক্ষমতাধর সত্ত্বা।
আমি বেঁচে থাকি অখাদ্যকে খাদ্যরূপে গ্রহন করে, আমি ঘুমিয়ে পড়ি রূপকথার পাতালপুরীর গল্প ভেবে, আমি স্বপ্ন দেখি নগ্ন প্রেমের তিক্ত ভালোবাসার, আমি জেগে উঠি ঈশ্বরহীন জগতের কথা ভেবে, কারন জগতে অদ্বিতীয় বলে কিছু নেই। যদি থাকে, তবে সেটি হবে; আমার শূন্য ঘর এবং চারটি দেয়াল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
কবিতায় গতি আছে। তবে বিষয় সেভাবে আসেনি। আর কারন জগতে অদ্বিতীয় বলে কিছু নেই। এখানে জগতে বললে সবকিছুই বুঝায় তাই ধর্মের সাধে বাক্য সাংঘর্ষিক। ভাল লিখ তুমি।
মিজানুর রহমান রানা
মানব সভ্যতাকে ভয়ংকর কিছু উপহার দেয়ার তরেই আমার সৃষ্টি,
আমার অস্তিত্ব মানব মনের কল্পনায়।
যার জন্য আজ তারা ভীত এবং অসহায়।
তাদের নিকট আমি এক ভয়ংকর ক্ষমতাধর সত্ত্বা।
------------------------কবিতা সুন্দর হৈছে। আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।